৩১ জুলাইয়ের সংলাপে অংশ নিচ্ছেন যারা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল সোমবার  থেকে সুশীল সমাজের নাগরিকদের সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩১ জুলাই সংলাপে বসার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমন্ত্রিত ৬০ অতিথির মধ্যে বিশিষ্ট নাগরিকদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এ পত্র।
আর বাকিদের কাছে ডাকযোগে পৌঁছানো হচ্ছে আমন্ত্রণপত্র। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনার প্রথমেই ছিল এ সংলাপ ইস্যুটি।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পাওয়া নাগরিকদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলামিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও সাবেক আমলারা রয়েছেন। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে ইসির কর্মপরিকল্পনার অনুলিপি, সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ অধ্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ও পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী বাস্তবায়নেও সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হবে। আগামী ৩১ জুলাই সোমবার সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সেখানে সভাপতিত্ব করবেন। নাগরিক সমাজের পর রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বসবে কমিশন।
সংলাপ প্রসঙ্গে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিত্বদেরই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। প্রতিটি সংলাপের রেকর্ড নোট রাখা হবে। সংলাপের পরে নোটগুলো একত্রিত করে প্রতিবেদন হবে এবং প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো গ্রহণ করার মতো সে অনুসারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আমন্ত্রণপত্র পাচ্ছেন যারা
অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের প্রথম ধাপে যারা ইসির আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তারা হলেন-সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, আকবর আলী খান, রাশেদা কে চৌধুরী, রোকেয়া এ রহমান, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, এম. হাফিজ উদ্দিন খান, মির্জা আজিজুল ইসলাম, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক, আইনজীবী শাহদীন মালিক, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
আরো থাকছেন বিএলআইএ পরিচালক ওয়ালিউর রহমান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবির, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলী ইমাম মজুমদার, সঞ্জীব দ্রং, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম হোসেন ও কাশেম, ড. কাজী খলীকুজ্জামান, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল ও এ এইচ এম কাশেম, মো. হুমায়ুন কবির, ড. সা’দত হোসেন, দৈনিক হাওর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, তোয়াব খান, ড. জহুরুল আলম, মুভ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল হক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সেড’র নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গায়েন,  অবসরপ্রাপ্ত মেজর এসএম শামসুল আরেফিন, ব্রতি’র সিইও শারমিন মুরশীদ, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খান, চ্যানেল আই’র শাইখ সিরাজ, বিএসএস চেয়ারম্যান রাহাত খান।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর